ছবি: সংগৃহিত
ডেস্ক রিপাের্ট:: খাগড়াছড়ির ‘মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড ইকো ট্যুরিজম পার্ক’ বৃক্ষরোপণে ভূমিকা রাখায় জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছে। পার্কে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষের চারা রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণের বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে ‘বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার-২০২৪’ এ মানিকছড়ির ডিসি অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড ইকো ট্যুরিজম পার্ককে মনোনীত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া। এর আগে গত ৩ জুন রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে যুগ্মসচিব ডা. মো. সাইফুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ‘বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার-২০২৪’ এর প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জনের তথ্য জানানো হয়।
আজ বুধবার দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে ‘বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার-২০২৪’ এর প্রথম স্থান অর্জন করায় প্রধান উপদেষ্টার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করবেন ইউএনও তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ির সাবেক জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস মানিকছড়ির ২ নম্বর বাটনাতলী ইউনিয়নের ডলু মৌজার অবৈধ দখলে থাকা প্রায় ১৬৫ একর জমি উদ্ধার করে সেখানে ডিসি পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট সেখানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে তৎকালীন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।
ছবি: সংগৃহিত
মানিকছড়ি উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরী পার্কের বিভিন্ন স্থানে ১০০ প্রজাতির প্রায় ২৫ হাজার চারাগাছ রোপণ করা হয়। তাছাড়া ৫০ প্রজাতির বিলুপ্তি প্রায় গাছের চারা ও ওষুধি গাছের চারা আলাদাভাবে রোপণ করার উদ্যোগ নেন।
মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া বলেন, বৃক্ষরোপণে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার প্রাপ্তি সত্যি গর্বের। তবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সেসময় অবদান রাখা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও উপজেলাবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এ অর্জনের মাধ্যমে দেশব্যাপী পার্কের পরিচিতি আরও ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাবে। আশা করি অতীতের তুলনায় আগামীতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড ইকো ট্যুরিজম প্রেমীদের পার্কে আগমন ঘটবে। সে লক্ষ্যে আরও দৃষ্টিনন্দন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।