“ উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা : পাহাড় ধ্বংস রোধে কার্যকরী ভূমিকার দাবী ”
আল-মামুন:: ২০০৯ সালে ৫ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠা করা হয় কমলছড়ি ইউনিয়নের মধুপুর এপিবিএন সড়কের তেঁতুলতলা অবস্থিত ‘অগ্রমৈত্রী বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’। দীর্ঘ সময়ের পালাবদলে স্থানীয়দের সহায়তায় ধীরে ধীরে গড়ে উঠে ভবনটির অবকাঠামো। এক পর্যায়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় দুই ধাপে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ভবন নির্মাণের সহায়তা করে।
একই ভাবে দফায় দফায় দায়ক-দায়িকাদের সহায়তায় প্রায় দেড় কোটি টাকায় নির্মাণ করা ভবনটি। বেশ কয়েক বছর যেতে না যেতেই পাশ্বের পাহাড়ের মাটি ধ্বংসতে শুরু করলে বর্তমানে তা পাশ্ববর্তী পাহাড়ের মাটি ধ্বংসে গিয়ে গত দুই বছর থেকে বেশ ঝুঁকিতে পড়ে ভবনটি।
এক যুগেরও বেশিও বেশি সময় ধরে কষ্টের ফসল প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ভবনটি রক্ষার আকুতি জানিয়েছে স্থানীয়রা। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রক্ষায় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পিত আরসিসি ওয়াল নির্মাণে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা করে দ্রুত যথাযথ কার্যকর ভূমিকার আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
অগ্রমৈত্রী বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ (ভান্ত) তেজ বংশ মহাথের বলেন, সমাজ ও ধর্মের প্রয়োজনে অত্র ভাবনা কেন্দ্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হলে ধর্ম চচ্চা অনুশীলন ও নিয়ম পালন ব্যাহত হবে বলে মনে করেন তিনি। তাই অচিরেই এই ভবন রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি।
কমলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুুনীল চাকমা জানান, তিন পার্বত্য জেলায় এই প্রথম এক মাত্র বির্দশন ভাবনা কেন্দ্র এটি। যা সমাজসহ ধর্মাবলম্বীদের জন্য খুবই গুরুত্বের। ‘অগ্রমৈত্রী বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’ স্থানীয়দের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাই নয় শুরু সকল সম্প্রদায়ের মিলনমেলার স্থানও বটে।
ধর্মীয় উপাসনালয় শান্তি প্রতিষ্ঠার কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে পরিচিত “অগ্রমৈত্রী বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র”টি রক্ষায় সরকারী ভাবে উদ্যোগ নেয়াসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান “পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের” সু-নজর কামনা করেন এই জনপ্রতিনিধিও।