পরকিয়ার জের ধরে খুন: রহস্য উদঘাটন
আল-মামুন:: পরকিয়ার জের ধরে খুন হয় ওমান প্রবাসী শাকিল ওরফে মুসা (২৫)। ঘটনার নেপথ্যে ছিলো পরকিয়া করে শারিরীক সম্পর্ক ও অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ সেই সাথে ঐ নারীর গর্ভপাত।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে এমনি হত্যার প্রায় ১ যুগ পর উদঘাটনের পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলো ৪ আসামী। আটককৃতরা হচ্ছে-শরিয়ত উল্লাহ (৬৮),মোঃ দেলোয়ার হোসেন দেলু (২৫), নাসিমা আক্তার (৩৫), মনির হোসেন (৪৫)।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মাথার খুলি, ৫ টি হাড় এবং পরিহিত কাপড়ের অংশ বিশেষ আলমত উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের বিশেষ টিম। সোমবার (১১ নভেম্বর ২০২৪) পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল প্রেস ব্রিফিং করে এমন এক ঘটনার চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটনের চিত্র তুলে ধরেন সাংবাদিকদের সামনে।
তিনি জানায়, দীর্ঘ ১১ বছর পূর্বে নিখোঁজ 'ওমান' প্রবাসী ভিকটিম শাকিল মুসা হত্যার ঘটনায় আদালতের আদেশে রুজুকৃত মামলার তদন্তকালে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে আসামী নাছিমা'র ননদের স্বামী ভিকটিম শাকিল মুসার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বলে জানান।
ভিকটিম মুসা বিভিন্ন সময়ে নাসিমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে রাখে। ভিকটিম 'মুসা' জীবিকার জন্য বিদেশে পাড়ি দেয় এদিকে নাসিমা অন্তঃসত্ত্বা হয় এবং গর্ভপাত ঘটায়।
বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে নাসিমা'র পিতার বাড়ির লোকজন ভিকটিম মুসা'র উপর ক্ষুব্ধ হয়। মুসা বিদেশে থাকাকালে তার আয়ের অর্থই নাছিমা'র কাছে প্রেরণ করে। সেই টাকা আত্মসাৎ এবং উভয়ের অবৈধ সম্পর্ক গোপন রাখতে আসামী নাছিমা তার সহোদর ভাই আনোয়ার হোসেনের সহযোগিতায় মুসা'কে হত্যা করে তাদের নিজ বাড়ির পাশে লাশটি মাটিচাপা দেয়।
কিন্তু ঘটনাস্থলটি আসামীদের নিজ বাড়ির নিকটবর্তী এবং নিজেদের মালিকানাধীন জায়গায় হওয়ায় ঘটনার দায় এড়ানোর মানসে ঘটনার দু'দিন পরে আসামী আনোয়ার,নাসিমা এবং শরীয়ত উল্লাহ লাশ উত্তোলন করে।
পরে বস্তাবন্দি করে আনোয়ার হোসেন এবং শরীয়ত উল্লাহ মটরসাইকেলযোগে মানিকছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানার সীমান্তবর্তী যোগ্যাছোলা ইউপি'র দক্ষিণ সাপমারা এলাকাস্থ জয়নাল চেয়াম্যানের গাছবাগানের দক্ষিণে গহীন জঙ্গলে পাহাড়ী খাদে ঝিরির মধ্যে নিক্ষেপ করে।