মো: সোহেল রানা,স্টাফ রিপোর্টার:: “কৃষিই সমৃদ্ধি” কৃষিই উন্নতি ধারন করে খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় সাম্প্রতিক চারবার অতিবৃষ্টি, বন্যা ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যেশীতকালীন শাকসবজির বীজ, সার ওনগদ অর্থ সহায়তা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর ২০২৪) সকালে কৃষি অফিসারের কার্যালয় প্রাঙ্গনে দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই আয়োজন করে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে খরিপ-২ মৌসুমে পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায়-অতিবৃষ্টি,বন্যা ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে শীতকালীন শাক-সবজির বীজ,সার ওনগদ অর্থ সহায়তা প্রদান ৩য় ধাপ উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা করে।
উপজেলা সহকারী উদ্ভিদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা পরেশ চাকমা‘র সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মামুনুর রশীদ বলেন, সাম্প্রতিক চার বার বন্যায় কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি কিছুটা পুরণ করা জন্য প্রণোদনা হিসেবে ৩ হাজার ২শত কৃষকে পর্যায়ক্রমে ধান বীজ, শাক-সবজি বীজ, সার ও নগদ অর্থ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া দীঘিনালায় তামাক চাষ বেশি হয়।
তামাক চাষ ছেড়ে যদি কোন কৃষক ধান, শাক-সবজি চাষ করে তাদেরকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তবে তামার চাষিরদের কৃষি প্রানোদনা থেকে আওতায় আনা হবে না। তামাক চাষ ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা মূলক প্রচর প্রচারন করা হবে।
কৃষি কর্মকর্তা মো: সাহাদাত হোসেন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৩য় ধাপে ১৫শত কৃষকদেরকে উচ্চ ফলনশীল ৮প্রকার শাক-সবজির বীজ, ১০কেজি এমওপি, ১০ কেজি ডিএপি সার ও নগদ ১হাজার টাকা প্রনোদনা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
কৃষি উপ-সহাকরী কর্মকর্তা পরামর্শ নিয়ে এই উচ্চ ফলনশীল শাক-সবজির বীজগুলো রোপন করতে হবে। তাহলে ভাল ফলন হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দীঘিনালা প্রেসক্লাব‘র সভাপতি ও দীঘিনালা পল্লী উন্নয়ন‘র চেয়ারম্যান মো: সোহল রানা, কৃষি উপসহকারী অফিসার সুপন চাকমা প্রমূখ।