নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে দল পাল্টে বনে যান নেতা: ম্যানেজ করে চলতো নিয়ন্ত্রণ,পরিবহণ সর্বরাহ,পাহাড় কাটার ধ্বংসযজ্ঞ
স্টাফ রিপাের্টার:: অবৈধ ভাবে পাহাড়-ফসলি জমি কাটার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে দল পাল্টে বনে যান নেতা। যখন যে দল আসে তখন তিনি সে দলের সাথেই সখ্যতা গড়ে তোলেন। নিয়ন্ত্রণ,ম্যানেজ করে চলতো অবৈধ পাহাড়,মাটিসহ অবৈধসব পরিবেশ ধ্বংসযজ্ঞের। এক চক্রের হাতেই “পাহাড় ধ্বংসের মহা সিন্ডিকেট”। এ সিন্ডিকেট সর্বরাহ করে পেলোডার,ডাম্প ট্রাক,ব্যাকহো-লোডার,সিজরলিফটসহ সকল পরিবহণ।
তাদের নিয়ন্ত্রণেই চলে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির অবৈধ পাহাড় সর্বনাশ। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে অনেকের নাম। মহালছড়ির অঘোষিত সিন্ডিকেট চক্রের প্রধান “শুক্কুর” এ চক্রের হোতা। ঐ চক্রের অন্য সদস্যরা হচ্ছে,মহালছড়ির নিয়ন্ত্রক জাহিদুল,রুবেল,কামাল,হামিদ। অন্যদিকে পরিবেশ ধ্বংসের এ লীলায় সঙ্গি হয়েছে অনেকেই।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে ম্যানেজ করাসহ বিভিন্ন সেক্টরকে বস মানিয়ে এ অবৈধ কর্মযজ্ঞে ভাগ পেতেন অনেকেই। মাসিক হারে নির্ধারিত চাঁদা,পকেট মানি,খবর প্রেরক,সমন্বয়ক। এই তালিকা থেকে বাদ পরেনি এক শ্রেণীর রাজনৈতিক দূর্নীতিবাজরাও ।
তথ্য অনুসন্ধানে খোঁজ মেলে, মহালছড়ি সিন্ডিকেট ছাড়া রামগড়ের-মহিউদ্দিন মেম্বার,রামগড়ের পাতাছড়া ইউপির ইউনুছ মেম্বার,লতিফ মেম্বার,গুইমারার-রাজন,আনন্দ সোম,মাটিরাঙার-আলা উদ্দিন,তাজু সরদার,মানিকছড়ির- ফারুক,কাদের.হাইসাহেব,আনোয়ার, খাগড়াছড়ির উত্তর সবুজবাগে আজম খানের টিলা ভূমি জোর করে কেটে নেয়া জুয়েল,কামাল,খাগড়াছড়ি শালবাগান এডিসিহিল পূর্ব দয়ানগর এলাকার ট্রাক্টর চালক ও পাহাড় খেকো মো: বক্কর,মো: রানা সহ অনেকের নাম উঠে এসেছে।
অঘোষিত সিন্ডিকেট চক্রের প্রধান মহালছড়ির“শুক্কুর” এ চক্রের হোতা নয় দাবী করে জানান ‘আমার একটি গাড়ি আছে। আমি সরকারি কাজ করি। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার কাজে চলে। এ সময় তিনি নিজেকে সিন্ডিকেট চক্রের মূলহোতা নয় দাবী তার, অন্যদের চেনেন বলে হুংকার ছেড়ে জমির উপরিভাগের মাটি সমান করাসহ বক্তব্যের স্লোতে একাধিক কথা তুলে ধরেন। একই সাথে অন্য উপজেলার পাহাড় খেকোর নাম ধরে নানা ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রতিবেদকের সাথে স্বাক্ষাত করার প্রস্তাব দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক অধিবাসী জানান, পাহাড় কাটার দায়ের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা না নেয়ার কারনে পাহাড় কাটা,জমি ভরাট,ফসলি জমি ধ্বংস,পরিবেশ বিপর্যয় ছাড়াও অপরাধ বেড়েইে চলেছে বলে জানান ভুক্তভোগীরাও।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সহিদুজ্জামান বলেন,যারাই পাহাড় কাটছে বা পরিবেশ নষ্ট করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে জড়িতদের ছাড় নেই বলে তিনি জানান।